মালিকের মরদেহ খুঁজে বের করলো কুকুর।

1
120

নাগরপুর প্রতিনিধিঃ নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বীর সলিল গ্রামে। মো. ফরিদ মিয়া (৪০) নামের ব্যাক্তির মরদেহ খুঁজে বের করলো তার পোষা কুকুর। এমন ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত এসে মরদেহ উদ্ধার করেছে।

২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার আনুমানিক দুপুর ১২ টার সময়, কৃষি জমিতে সেচ মেশিনঘর থেকে বীর সলিল গ্রামের মৃত তোরাব আলীর ছেলে মো. ফরিদ মিয়া (৪০) এর মুখ, হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় তার পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে, পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতরাত আনুমানিক ১১টা পর্যন্ত সে বাড়িতে ছিল এবং মেশিন চালিয়েছে। সকালে ফরিদের মেশিন না চালানোতে কৃষকরা তাকে খোঁজ করতে থাকে।

এছাড়াও ফরিদের পোষা কুকুর মেশিন ঘরের চারপাশে কান্না-কাটি, খোড়া-খুড়ি ও হাউমাউ করায়, এলাকাবাসী মেশিন ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে ফরিদের হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পায়। পরে তার পরিবারকে জানালে, পরিবার এসে সেখান থেকে ফরিদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় থানা-পুলিশকে খবর দিলে, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে, লাশ উদ্ধার করে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এমন বর্বর হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে সহবতপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফায়েল আহমেদ মোল্লা, ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারেকে সান্ত্বনা দেন এবং থানা পুলিশকে সহযোগিতা করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি এমন হত্যাকান্ডের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

এ এস পি এস এম মনসুর মুসা (মির্জাপুর সার্কেল) এ বিষয়ে বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে হত্যা কান্ডের আলামত অনুসন্ধান করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ ও মামলা গ্রহণ চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ হত্যাকান্ডের কারন ও হত্যাকারী গ্রেফতার সম্ভব হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

এমন হত্যাকান্ডে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here