Homeখেলাধুলাআসছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের দল

আসছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের দল

— আসছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের দল এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে, বেশির ভাগ সদস্যই নিশ্চিত। কিন্তু যদি কেউ ইনজুরিতে পরে, তাহলে কি করা হবে? এই কথা মাথায় রেখে কোচ হাথুরুসিংহে সৌম্য, শামিমদের প্রস্তুত করছেন। বিশ্বকাপ ভাবনায় তারা সবাই আছেন। প্রয়োজন অনুসারে যাতে খেলাতে পারেন। তাই মিরপুরে দীর্ঘক্ষন অনুশীলন করছেন তারা। সৌম্য, শামিমদের এই প্রস্তুতির বাকিটা থাকছে প্রতিবেদনে…

** বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম ছয় জনের পজিশন প্রায় নিশ্চিত। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গে লিটন, এরপর আছেন শান্ত; সাথে মুশফিক ও সাকিব আর তরুন তাওহীদ হৃদয় আশা দেখাচ্ছেন। কিন্তু, প্রশ্ন আছে সাত নম্বর পজিশন নিয়ে। যদিও এরপর, মিরাজ, তাসকিন, ফিজ, হাসানরা অনেকটা নিশ্চিত। কিন্তু, প্রশ্ন তাহলে কি সবার লড়াই এই সাত নম্বর পজিশনটা নিয়েই? বিসিবির ভাবনায়ও আপাতত তা-ই, এমনকি সাথে ভাবছেন আরেকজন ওপেনার নিয়ে। এরইমধ্যে আসছে আফগানিস্তানের সিরিজে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে বাম হাতি ব্যাটার নাইম শেখকে। অধিনায়ক তামিমের ইনজুরি নিয়ে আছে শঙ্কা, তাই এইক্ষেত্রে বিশ্বকাপের মতো দীর্ঘ মেয়াদী টুর্নাম্যান্টে একজন ব্যাকআপ ওপেনার অবশ্যই প্রয়োজন। তবে, সেক্ষেত্রে দলের সাথে নাইম থাকলেও, কোচ হাথুরুসিংহের ভাবনা জুরে সৌম্য সরকার। কথিত আছে কোচের প্রিয় ছাত্রের মধ্যে একজন সৌম্য। তাই তার দিকে নজরটাও বেশি। ফলস্বরূপ মিরপুরে তাকে নিয়ে দীর্ঘক্ষন অনুশীলন করছেন হাথুরু। এরই মধ্যে তাকে নেওয়া হয়েছে ইমার্জিং এশিয়া কাপের দলে। সেখানে ভালো করলে সুযোগ আসবে মূল এশিয়া কাপের দলেও। ভাবা হচ্ছে অনেকটা প্রয়োজনের তাগিদেই সৌম্যকে তৈরি করছেন হাথুরুসিংহে।
মূলত ব্যাকআপ ওপেনার বা একজন পেস অলরাউন্ডার হিসেবেই তাকে এই মুহুর্তে বিবেচনা করা হচ্ছে।

শুধু যে সৌম্য একা, তাও নয়। মিরপুরে এখন চিরচেনা মুখ শামিম হোসেন পাটওয়ারি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের প্রধান বৈশিষ্ট্য তার টি টোয়েন্টি মেজাজের ব্যাটিং। ব্যাট হাতে যেকোনো বলকে বাউন্ডারি মারার ক্ষমতা রাখেন তিনি। যেটা বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ আক্ষেপের বিষয়। বিশেষ করে শেষ চার থেকে পাঁচ ওভারে রান তুলার জন্য এমন ব্যাটারই প্রয়োজন প্রতিটা দলে। যেই ক্ষমতা আছে শামিমের। তাই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে শামিমকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। কারন, সাত নম্বর পজিশনে ব্যাকআপ খেলোয়াড় হিসেবে তিনিও হতে পারেন দলের ভরসার কারন। এছাড়া, বর্তমাসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, এনামুল হক বিজয়দের উপরও কোচের আলাদা নজর আছে। বিশ্বকাপের আগে তাদের প্রস্তুত রাখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। যাতে করে জরুরি মুহূর্তে প্রয়োজনের অভাব মিটাতে পারেন তারা। তবে, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তাদেরকে ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতে হবে। সরাসরি এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপে খেলানোর আগে এক থেকে দুটি ম্যাচেে পার্ফম বিবেচনা করতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular