★★ আম্পায়ার নিয়ে তর্ক বিতর্ক এবার বিশ্বকাপে আর কম হলো না। বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে দলগুলোর পার্ফমে দেখা গেছে নানান সমস্যা। তবুও, বিশ্বকাপে ভরসা রাখা হয় জিম্বাবুয়ের দুর্বল জ্ঞানী আম্পায়ারদের উপর, অথচ বাংলাদেশি আম্পায়াররা সুযোগ পায়না কোনো সময়ই। এটা নিয়ে হতাশ অনেকেই। এভাবে আর কতদিন? বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আম্পায়াররা কি আদৌও সুযোগ পাবেন? নাকি অবহেলিতই হয়ে যাবেন এ নিয়ে বিস্তারিত থাকছে প্রতিবেদনের বাকি অংশে…..
★★ আম্পায়ার অথবা ম্যাচ রেফারি যাদের কাছে কিনা থাকে ম্যাচ পরিচালনার চাবি কাঠি। এই দায়িত্ববানদের উপরই থাকে ম্যাচের সকল সিদ্ধান্ত, বাধা বিপত্তি। একটা ম্যাচের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য সবাই আশা করে ভালো আম্পায়ারিং। কিন্তু প্রায় সময়ই দেখা যায় ম্যাচে পক্ষপাতিত্ব। যার মূলে থাকেন আম্পায়ারদের অপেশাদারিত্ব। তবে, এবার বিশ্বকাপে এই সমস্যা ছিলো চোখে লাগার মতো। বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত ও বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচে। আর এমনটা এবার প্রথম না, অতীতেও দেখা গেছে এমন অনেক বিতর্ক। তবুও, আইসিসি আস্থা রাখেন এমন অনভিজ্ঞদের উপরই। অথচ, বাংলাদেশের আম্পায়াররা যেন তাদের কাছে পর্দার আড়ালের, অজপরগা ন্যায় আচরনে সীমাবদ্ধ। কখনো মনে হয়নি তাদের কাছে যে লাল সবুজের মাসুদ, সৈকত, গাজিরাও যোগ্য।
এবার এশিয়া কাপে বাংলাদেশ থেকে মাসুদউর রহমান মুকুল ও গাজি সোহেল প্রতিনিধিত্ব করেন আম্পায়ার হিসেবে। সোহেলের পার্ফম গড় পর্তনে থাকলেও, মুকুল ছিলেন আলাদা। বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে দারুন করেন শুরুতেই। ভারত পাকিস্তানের ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন বেশ দক্ষতার সাথে। এশিয়া কাপের প্রতিটি হাই ভোল্টেজ ম্যাচেই দেখা যায় মুকুলকে। আর সেই আস্থার প্রতিদান হিসেবে ফাইনালেও দেখা যায় তাকে। সেখানকার পার্ফম দিয়ে ভালো প্রশংসা কুড়ান এশিয়ার ক্রিকেট ফ্যানদের কাছে। তখন একটা জোর সম্ভবনা দেখা দিয়েছিলো, বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে মুকুলকে। কিন্তু আইসিসির অবহেলায় আবারো অবহেলিত হয়তো বাংলাদেশি বলে। অথচ, ঠিকই সুযোগ পান নড়বড়ে ক্রিকেট মেধাধারী জিম্বাবুয়ের আম্পায়াররা।
এছাড়াও, সারাফতউল্লাহ ইবনে সৈকতও দেশের অন্যতম সেরা আম্পায়ার। আছে অভিঙ্গতাও দারুন। অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপ ও নারী বিশ্বকাপেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন আগে। কিন্তু বিশ্বকাপে যেন তিনি আইসিসির নজরের বাহিরে। তাকেও মনে করেন অযোগ্য হিসেবে। কিন্তু, মারাই এরাসমাস, আদ্রীয়ান হল্ডস্টোকদের মতো পক্ষপাতিত্বকারীদের ঠিকই আইসিসির বর্ষসেরা পুরষ্কার মিলে। হয়তো অবহেলার বলী হয়ে বারবার পর্দার আড়ালের নায়ক হিসেবে বাংলাদেশের আম্পায়াররা থাকে। কিংবা, আইসিসির রাজনৈতিক অসুবিধার কারন হতে পারেন বলেও যোগ্যদের অযোগ্য বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এ বিষয়ে বিসিবিকেও নিতে হবে কঠোর দায়িত্ব। ঘরোয়া লীগের অবকাঠামোও এর জন্য দায়ী বিশেষ ভাবে।